সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
মাঘের শুরুতে বোরো আবাদের মাঠে নেমেছেন জেলার কৃষক। শীত উপেক্ষা করে শুরু করেছে জমিতে চারা রোপন, আবার অনেকে ব্যস্ত জমি তৈরির কাজে।
কৃষকরা বলছেন, মাঘের শুরুতেই চারা রোপন করতে পারলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষি বিভাগও জানায়, এ সময়ে চারা রোপন করলে রোগবালাই কম হয়, প্রাকৃতিক দূর্যোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে না।
এসময় জেলার জলঢাকা উপজেলার আউলিয়াখানা গ্রামের কৃষক অলিয়ার রহমান (৫০) বলেন,‘এক সপ্তাহ আগে আমার জমিতে চারা রোপন করেছি। এতে ক্ষেতে রোগবালাই কম হবে, ফলন ভালো হবে, জমিতে বর্ষার পানি জমার আগেই ধান উঠানো সম্ভব হবে।’
জেলার ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামের কৃষক অধীর চন্দ্র রায় (৪০) বলেন, ‘দুই একদিনের মধ্যে চারা রোপন করবো। মাঘের শুরুতে চারা রোপন করলে ফলন ভালো পাওয়া যায়।’
ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়ের মৌজা বামুনিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫৫) বলেন,‘মাঘমাস পড়েছে, এলাকার অনেকে চারা লাগানো শুরু করেছেন। আমিও দুই একদিনের মধ্যে মধ্যে চারা লাগানো শুরু করবো।’
বোরো মৌসুমে ভিত্তি বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে নীলফামারী ভিত্তি বীজ উৎপাদন খামার। ওই খামারের উপসহকারী পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন,‘এটাই উপযুক্ত সময় জমিতে বোরো চারা রোপনের। অপেক্ষাকৃত নীচু জমিতে এ সময়ে চারা রোপন করা হলে জমিতে বৃষ্টির পানি জমার আগেই ধান উঠানো সম্ভব হবে। রোগবালাই কম হবে, ফলনও ভালো হবে।’
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা রয়েছে ৮৪ হাজার ২৭৯ হেক্টর জমিতে। এজন্য বীজতলা তৈরী হয়েছে চার হাজার ৯৭০ হেক্টর। বেশীরভাগ বীজতলার চারা জমিতে রোপনের উপযুক্ত সময়ে পৌঁচেছে, ইতিমধ্যে কৃষকরা জমিতে রোপনও শুরু করেছেন। জেলায় বেশীরভাগ বীজতলার বয়স ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে হওয়ায় শৈত প্রবাহের বিরূপ প্রভাব পড়েনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আবুল কাশেম আযাদ জানান, ‘জেলায় এ পর্যন্ত ১০৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন হয়েছে। এসময়ে চারা রোপনের ফলে আবাদে রোগবালাই কম হবে, প্রাকৃতিক দূর্যোগে পড়বে না, ফলনও ভালো হবে।’